ই-কমার্স - E-Commerce
(টিকা লিখুন)ই-কমার্স (E-Commerce)
ই-কমার্স মানে ইলেক্ট্রনিক কমার্স। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনা, বেচা বা অন্যান্য সেবা ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়াই ই-কমার্স হিসাবে পরিচিত। বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে ইন্টারনেট চালুর পর থেকেই তথ্য প্রযুক্তি তথা যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বর্তমানে মানুষ ঘরে বসেই ব্যবসা পরিচালনা, কেনাকাটা এবং অন্যান্য সেবা অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারে। বাংলাদেশে বর্তমানে ই-কমার্সের যে আকার; ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে। ই-কমার্সের কল্যাণে এখন আমরা ঘরে বসেই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল পরিশোধ, মানি-ট্রান্সফার, ব্যাংক থেকে টাকা তোলা; এককথায় যাবতীয় কর্মকাণ্ড খুব সহজেই করতে পারি। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইন এবং ২০১৩ সালে অন্যান্য ব্যাংক অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের অনুমোদন দেয়। যার ফলে ই-কমার্সের প্রসার আরও বেড়ে যায়। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ই-কমার্সের মাধ্যমে লেনদেন আমাদের দেশের থেকে অনেক বেশি। ই-কমার্সের মাধ্যমে আমরা সময় ও খরচ দুটোই সাশ্রয় করতে পারি।
ই-কমার্সের প্রকারঃ ই-কমার্স বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যথা ব্যবসা বনাম ব্যবসা (B2B), ব্যবসা বনাম ভোক্তা (B2C), ব্যবসা বনাম সরকার (B2G), ভোক্তা বনাম ভোক্তা (C2C), ব্যবসা বনাম চাকরিজীবী (B2E) ইত্যাদি ।
জনপ্রিয় সাইটঃ ই-কমার্সের জনপ্রিয় সাইটগুলোর মধ্যে Bikroy.com, CellBazaar.com, Akhoni.com, Rokomari.com, Clickld.com, BoiMela.com, Ajkerdeal.com, Charkri.com, Priyoshop.com, Sindabad.com, JobsA1.com, Amikinee.com, Bagdoom.com ইত্যাদি।
ই-কমার্সের সুবিধাঃ সুবিধাগুলো হলো- ক) খরচ সাশ্রয় হয় (খ) সময় কম লাগে (গ) লোকবল কম লাগে, এতে পরিবহন ব্যয়ও কমে যায় এবং (ঘ) অভিজ্ঞলোক ই-কমার্সের সাথে জড়িত বলে কাজে-কর্মে গতি আসে ।
ই-কমার্সের অসুবিধাঃ ক) লোকবল বা কর্মী কম লাগে বিধায় বেকারত্ব বাড়ে (খ) অনলাইনে অনেক সময় হ্যাকাররা তথ্য হ্যাক করে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে । (গ) অশিক্ষিত লোক ই-কমার্সের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না ।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?